বিএনপির আন্দোলন এখন আওয়ামী লীগের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ নয় বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁর মতে, আন্দোলন করার শক্তি, সামর্থ্য, সাহস ও জনসমর্থন কোনোটিই নেই দলটির।
আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত সাত বছরে প্রমাণ হয়েছে তারা আন্দোলনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এখন আন্দোলন করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, সাহস নেই এবং জনসমর্থন নেই। কাজেই বিএনপি আন্দোলন করবে, এমন দুশ্চিন্তা এখন আমাদের মাথায় নেই।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের এখন কাজ হচ্ছে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আওয়ামী লীগের ক্ষতি যদি আওয়ামী লীগ না করতে পারে, তাহলে বাইরের কোনো শত্রু আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তাই আমাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘গতকালকের গণমাধ্যমে আমরা দেখলাম বিএনপির তথাকথিত থিংক ট্যাংকের সদস্য বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে করা খালেদা জিয়ার কটাক্ষকে সমর্থন করে কথা বলেছেন। বেগম জিয়া নাকি মহা একটা কাজ করেছেন। আমরা অবাক হয়ে যাই, যখন গোটা জাতি খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করছে, তখন তাঁদের পক্ষের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সেটা সমর্থন করছেন।’
হানিফ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তাঁর একটি কলামে লিখেছেন, এ বাংলাদেশে রাজাকার হওয়া সহজ কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে থাকা কঠিন। আজকে এ সকল বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য শুনে এটাই মনে হয়েছে। এ সকল বুদ্ধিজীবী নিজেদের রাজাকার হিসাবে ভাবতে বেশি উল্লসিত হন। তাই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষÿকরে বক্তব্য দিচ্ছেন।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।