চিকিৎসার অভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারালাইজড ও দৃষ্টিহীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, এখনই যদি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে তিনি প্যারালাইজড ও দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারেন। সরকার চায় তিনি পঙ্গু হয়ে যাক, দৃষ্টিহীন হয়ে যাক। এ জন্য বারবার দাবি করার পরও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
বুধবার (৬ জুন)রাজধানীর একটি হোটেলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।’
দেশ ও গণতন্ত্র আজ গভীর সংকটে বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এ সরকার। গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে মিথ্যা মামলায় জাল নথি তৈরি করে কারাগারে আটকে রেখেছে। একটি পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি তিনি, যে কারাগারে আর কোনও কয়েদি নেই।’
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ চলছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের দুঃশাসন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। এই অভিযানকে আমরা শুরু থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছি।দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান করবো, এর বিরুদ্ধে জনপ্রিতরোধ গড়ে তুলুন।’
সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের টার্গেট নিয়ে এ অভিযানে নেমেছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেই উদ্দেশ্যেই কক্সবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামকে হত্যা করা হয়েছে। এলাকার সবাই বলছেন, তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। প্রকাশিত অডিও প্রমাণ করে যে, মাদকবিরোধী এই অভিযান সরকার ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করছে। এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা চলতে পারে না। আমরা কি কোনও জংলি দেশে আছি নাকি?’
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।