ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মানতেই হবে। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল টাইগারদের।
সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেল বটে।
সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার প্রথম ধাপ বাংলাদেশ পেরিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে। ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছেন সাকিব বাহিনী।
আজ একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে ফাইনালে। এই ম্যাচটা জিতলে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
শুধু বিদেশ নয়, সব মিলিয়ে একের অধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো জেতার সুযোগ সাকিবদের।
বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত একের অধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ১১টি। এর মধ্যে দেশে ৪টি, বিদেশে ৭টি। দেশে কখনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বিদেশে জয় মাত্র একটি।
২০১২ সালের জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ডেই আইরিশদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
বাকি ছয়টি সিরিজের তিনটি ড্র করেছে আর তিনটিতে হার। এই তিনটি হারের প্রতিটি গত দুই বছরে।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের প্রতিটিই হারে বাংলাদেশ।
গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের পর সবশেষ গত জুনে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই পরিণতি।
দেশ কিংবা বিদেশে যেখানেই বলি না কেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বলার মতো সাফল্য নেই। এবার এ বিবর্ণ রেকর্ড একটু উজ্জ্বল করার সুযোগ পেল টাইগাররা।
২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের রেকর্ডটা অবশ্যই সুখস্মৃতি। তবে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলে আগেরটি ছাপিয়ে একাধিক ম্যাচের সিরিজে এটিই সর্বোচ্চ সাফল্য হয়ে থাকবে বাংলাদেশের।