কুমিল্লা সদরের কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুলের মাইশা উদ্দিন সামিয়া নামের এক ১৩ বছরের ছাত্রী অপহরনের সকল অভিযোগের তীর উঠেছে মাইশার চাচা জালাল উদ্দিন বখসী ও জামাল উদ্দিন বখসীর দিকে।
জানা যায় যে গত ৩ শরা জুন ও গত ৪ ই অগাস্ট দুই দফা মাইশাকে অপহরনের চেষ্টা চালায় তাঁর আপন দুই চাচা জালাল ও জামাল উদ্দিন বখসী। তাদের বড় ভাই সালাউদ্দিন বখসীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই এই অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমাদের তদন্তে উঠে আসে।
এদিকে নিরীহ মাইশার মামা মাইশার চাচাদের ভয়ে সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন গত ৪ ই আগসট তার ভাগ্নী কে স্কুল থেকে আনবার পথে মাইশার চাচা জালাল ও জামাল উদ্দিন বখসী শহিদুর রহমান নামে এক চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে মাইশার গতিরোধ করে দাঁড়ায়। এই সময়ে জহিরুলকে উদ্দেশ্য করে জালাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ও মাইশাকে ছিনিয়ে নেবার জোর চেষ্টা চালায়। একইভাবে গত ৩ শরা জুন ২০১৮ সালেও এইভাবে রাস্তায় থামিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছিলো মাইশার চাচারা। কিন্তু সে সময় অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ থানাতে অভিযোগ নেয়নি। উলটো পুলিশ বলেছিলো মাইশার চাচা মাইশার সাথে দেখা করতে এসেছিলো।
অপহরনের অভিযোগ দেবার পরেও পুলিশের এসব নিজস্ব ব্যাখ্যা ও মামলা না নেবার ব্যাপারে বিষ্মিত হয়েছেন অনেকেই। জানা যায় গত ১৪ ই অগাস্ট তারিখে থানাতে এই ব্যাপারে একটি মামলা নেয়া হলেও (মামলা নাম্বার ৩২) এই মামকলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে মাইশার দুই চাচা।
আমাদের তদন্তে জানা যায় যে মাইশার দুই চাচা এলাকাতে ভূমি সন্ত্রাসী বলে পরিচিত, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কেব্দ্রীয় সদস্য হবার ফলে তারা এলাকায় যা খুশি তাই করে যাচ্ছে এবং কেউ তাদের অস্ত্রের ভয়ে মুখ খুলছে না। মাইশার বাবা মৃত্যুকালে কিছু সম্পত্তি রেখে যান মাইশা ও তাঁর মায়ের নামে যিনি এখন যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। এই রেখে যাওয়া সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার জন্যই মাইশার দুই চাচা জালাল উদ্দিন বখসী ও জামাল উদ্দিন বখসী দীর্ঘদিন ধরে মাইশার মা মিসেস আয়েশা ও মাইশাকে নানাবিধ ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।
এই ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদককে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। এদিকে থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা কম কৃষ্ণ ধরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার তদন্ত হচ্ছে বলে আমাদের জানান।






















