জার্মানিতে প্রতি তিনজনের মধ্য অন্তত একজন বিদেশি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করেন, জার্মানির পূর্বাঞ্চলে এই বিদ্বেষের হার আরও বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। জার্মানির লাইপজিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক, কর্তৃত্ববাদী ও ডানপন্থীদের উত্থান শীর্ষক একটি দীর্ঘ মেয়াদি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
লাইপজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার স্টাডির দুই গবেষক অধ্যাপক অলিভার ডেকার ও অধ্যাপক এলমার ব্রালার, বুধবার রাজধানী বার্লিনে তাদের দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার ফলাফল জানিয়ে বলেছেন, আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় জার্মানিতে বিদেশি বিদ্বেষের বিস্তার ও বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে জার্মানের ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, বিদেশিরা জার্মানিতে আসছেন, এই কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের সুবিধাদি গ্রহণের জন্য। আর জার্মানিতে ভবিষ্যতে আবারও বেকারত্বের হার বাড়লে, এক চতুর্থাংশ বিদেশিদের এই দেশ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন একই সংখ্যক ৩৬ শতাংশ মানুষ।
গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন সাম্প্রতিককালে জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষ হ্রাস পেলেও মুসলমান ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর বিদ্বেষ বেড়েছে। গবেষণায় বিদেশি বিদ্বেষের কারণ হিসাবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জার্মানিতে দক্ষিণপন্থী কট্টরবাদীদের উত্থানের বিষয়টি বলা হয়েছে। দুই বছর আগে লাইপজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার স্টাডির করা গবেষণায় জার্মানিতে বিদেশি বিদ্বেষের হার আরও কম ছিল বলে তারা জানিয়েছে।
বুধবার বার্লিনে এই গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশের সময় সাংবাদিক সম্মেলনে গবেষক অধ্যাপক অলিভার ডেকার ও অধ্যাপক এলমার ব্রালার, অনেকের কাছে তাদের গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে সমালোচিত হন। অনেকেই এটা জার্মান সমাজের সঠিক চালচিত্র নয় বলে মন্তব্য করেন।
২০০২ সাল থেকেই লাইপজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার স্টাডি জার্মানিতে নব্য নাৎসি, বিদেশ বিদ্বেষ ও নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন।