তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ৪০.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ১২ ম্যাচ পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সরফরাজরা। এ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় পৌঁছেছে দু দল।
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই আবুধাবিতেই পাকিস্তানকে ৭ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর টানা ১৩টি ওয়ানডের ১২টিতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে পাকিস্তান। অন্য ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। প্রায় চার বছর পর একই মাঠে হারের বৃত্ত থেকে বের হলো পাকিস্তান ক্রিকেট দল। টপ অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ছয় রানে জিতেছে সরফরাজ আহম্মেদরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে ২৫ রানের মাথাতেই ২ উইকেট। এরপর ৭৩ রানের মাথায় চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। রস টেইলরের ৮৬ রানের ওপর ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও খুব বড় সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরলে ২০৯ রানে শেষ হয় তাঁদের ইনিংস।
২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসেখেলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ফার্গুসনের বল হেলমেটে আঘাত করলে মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে যেতে হয় পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হককে। খেলা শেষে পিসিবির তরফ থেকে জানানো হয় ইমাম শঙ্কামুক্ত আছেন। ইমাম হাসপাতালের বিছানায় গেলেও তাঁর অসমাপ্ত কাজটা ঠিকঠাক করেছেন ফখর জামান ও বাবর আজমেরা। মূলত এই জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
২৯তম ওভারে ফার্গুসনের জোড়া আঘাতে খেলায় ফেরার আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৫৫ রানে ফার্গুসনের বলে ফখর জামান আউট হন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে। স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই একই ওভারে আউট হন বাবর আজম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে ৩৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেওয়া শাহিন আফ্রিদির হাতে।