গত ১৯ শে অগাস্ট ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৬১ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্টের ২২ নম্বর আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার নাম্বার ১৪৫৭/১৯।
মামলার বাদী মোঃ আরিফ উদ্দিন হেফাজত ইসলামের একজন কর্মী বলে জানা যায়। এইদিন সোমবার এই মামলাকে ঘিরে আদালতে তীব্র উত্তেজনা দেখা যায় এবং হেফাজতের শত শত কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গন ঘিরে রাখে। মামলা দায়েরের পর তারা নারায়ে তাকবীর আল্লহ হু আকবর বলে স্লোগান দিতে দিতে দিতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে অগ্রসর হয়। এই সময় এই মিছিল থেকে কিছু রিকশা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী মোঃ আরিফ উদ্দিন “এথিস্ট ইন বাংলাদেশ” নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী ম্যগাজিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ২৯৫ ধারাতে ধর্ম অবমাননার মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় ম্যাগাজিনটির সম্পাদক আরমান আহমেদকে এই মামলার মূল আসামী দেখানো হয়। উল্লেখ্য এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক আগের থেকেই ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রয়েছে এবং এই ম্যাগাজনের মাধ্যমে তিনি অনেক দিন ধরেই আল্লাহ, রাসুল,সাহাবাগন সহ সমগ্র মুস্লিম বিশ্বের বিরুদ্ধে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে বাদী মোঃ আরিফ উদ্দিনের সাথে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই এথিস্ট ইন বাংলাদেশ ম্যাগাজিনটি ইসলামের শত্রু। এইখানের লেখকেরা ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন ইসলামকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্ত করে যায় কিন্তু সরকার কিংবা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একটি কথাও বলে না”
তিনি আরো বলেন, “আল্লাহর জমিনে কোনো নাস্তিকের বাচ্চার ঠাঁই হবে না। আর নাজমুল হোসেন ওরফে ঘাতককে দেশে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে শিরচ্ছেদ করতে হবে”
বাংলাদেশে তো প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের আইন নেই বা পদ্ধতি নেই তাহলে তিনি কেন এমন দাবী করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে জনাব আরিফ বলেন, ৯৮% মুসলমানের দেশে শরীয়া আইন করতে হবে, তা না হলে এই দেশে কোন সরকার টিকে থাকবে না।
এই ব্যাপারে মূল আসামীদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এদিকে এই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছিলো অত্যন্ত সরব। সেখানে নানাবিধ মিসগ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই ব্যাপারে কোনো রকমের মন্তব্য করা হবে না বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান।