ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে দেশের ১৬ জেলার ২ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির ১৮ ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ১৮ ধরনের ফসলের মধ্যে রোপা আমন বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বাতাসের তীব্রতায় ধানসহ অন্যান্য ফসল নুয়ে পড়েছে। তবে, ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিশ্চিত হতে আরও ৩/৪ দিন সময় লাগবে। কৃষকদের এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। রবিবার (১০ নভেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক চান্দি দাস কুণ্ড এ তথ্য জানান।
চান্দি দাস কুণ্ড আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দেশের ১৬ জেলার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ১৬ জেলায় ২ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। জমিতে কৃষকদের ১৮ ধরনের ফসল ছিল। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য রোপা আমন, সরিষা ও খেসারি ডাল। এছাড়া রয়েছে শীতকালীন সবজি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমন ও সরিষা। আমরা কৃষকদের পাশে আছি। আমাদের উপজেলা ও জেলার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘রোপা আমন বাতাসের তীব্রতায় নুয়ে পড়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি, রোপা আমন যদি কাঁচা থাকে তাহলে তুলে ঝুঁটিবেঁধে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে। পেকে গেলে দ্রুত পানির ওপর থেকে কেটে তুলতে হবে। আমাদের মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকদের এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। বরগুনা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রামে বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার রাত ৯টার দিকে খুলনার সুন্দরবন উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার। পরে সুন্দরবনে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে এর গতি কমতে থাকে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলা এতে আক্রান্ত হয়। ঝড়ে বিভিন্ন জেলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।