সকাল সাতটায় রোগী এসেছিল রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে। সঙ্গে হার্টের সমস্যার কথাও জানায় তারা। কিন্তু, রোগী যে করোনা পজিটিভ সে তথ্য লুকিয়ে যায় চিকিৎসকদের হিস্ট্রি দেওয়ার সময়ে। রোগীর এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলেও রোগীর স্বজনরা বারবার তা অস্বীকার করে যায়। এরপর রাত দশটায় তারা স্বীকার করে রোগী করোনা পজিটিভ। এমন পরিস্থিতিতে পড়ায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের একটি সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানায়।
সূত্র আমাদেরকে জানায়, গতকাল ১৪ এপ্রিল সকালে রোগী আসে, কিন্তু তারা করোনা পজিটিভের বিষয়টি কোনওভাবেই স্বীকার করেনি। অবশেষে রাত ১০টার দিকে তারা বিষয়টি চিকিৎসকদের কাছে স্বীকার করে। জানায় যে এর আগের দিন রোগী করোনা পজিটিভ বলে তাদের জানানো হয়েছে।
আর এ ঘটনায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের দুটি সিসিইউর মধ্যে তাকে যে সিসিইউতে রাখা হয়েছিল সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে সেবাদানকারী চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। দুই দিন পর তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হবে।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ বলেন, গত ১৩ তারিখে ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ আসে। কিন্তু ১৪ এপ্রিল হাসপাতালে আসার পর স্বজনরা সে তথ্য লুকিয়ে রোগীকে ভর্তি করান। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু, তারা কোভিড পজিটিভ বিষয়টি টোটালি আমাদের কাছে হাইড করেন। আর এ ঘটনায় আমাদের চিকিৎসক, নার্সসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এখন কোয়ারেন্টিনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ আরও জানান, রোগী কোভিড পজিটিভ জানার পরই তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। তিনি যে সিসিইউতে ছিলেন সেটি এখন ক্লোজড করে দেওয়া হয়েছে। ডিসইনফেক্ট করে পরে খোলা হবে। তবে আরেকটি সিসিইউ খোলা রয়েছে।