দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে শাটডাউন সত্ত্বেও কৃষিবিদ ও কৃষি-কর্মকর্তাগণ আশা করছেন, এবছর বোরো ধানের উদ্বৃত্ত উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যেই দেশের হাওর অঞ্চল থেকে ৯৮ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে, যা মোট বোরো আবাদের ২০ শতাংশ।
ড. আলহাজ বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশব্যাপী অচলাবস্থার ফলে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে ফসল কাটার মৌসুমে এ অঞ্চলের কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক সংকট শুরু হয়েছিল, তবে সরকার সেই সব অঞ্চলে শ্রমিক জোগান দেয়ায়, সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বোরো ধান কাটতে গত বছরের তুলনায় ভালো ফলন এবং অনুকূল আবহাওয়া আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আশাবাদী করে তুলেছে।
ডিএইর একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাতটি হাওর জেলা-কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমি থেকে ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশেরও বেশি বোরো ধান উত্তেলন করা হয়েছে। বাকি ৩১ শতাংশ উঁচু জমিতে ফসল কাটার প্রক্রিয়া মধ্য জুনের পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ডিএই এ বছর সারা দেশে ৪৮ দশমিক ৬৬ লাখ হেক্টর জমি থেকে ২ দশমিক ৪ কোটি টন বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল থেকে হাওর অঞ্চলে ৫০ হাজার শ্রমিককে তাৎক্ষণিকভাবে এনে একত্রিত করা এবং তাদেরকে ধান কাটতে কৃষি জমিতে পাঠানোর মতো যথাযথ শ্রম ব্যবস্থাপনার ফলে সহজ এবং ঝুঁকি মুক্ত উপায়ে ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বোরো থেকেই দেশের বার্ষিক ধানের ৫৫ শতাংশ অর্জিত হয়। হাওর অঞ্চলের কৃষকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে ফসলের আবাদ করেছেন বলেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা করছি।