নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের মূল লড়াই শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ। সিরিজের লড়াইয়ে নামার তিন সপ্তাহ আগে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। করোনা কাল বলেই কোয়ারেন্টাইনের ঝক্কি আছে। কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে এখন ক্রাইস্টচার্চের লিঙ্কন গ্রিন মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করছেন তামিম-মুশফিকরা। সফরে দলের সঙ্গে থাকা জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানিয়েছেন, এই সময়ে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে গোটা দল। অনুশীলনের সুযোগের সঠিক ব্যবহারের প্রতি মনোযোগী সবাই।
শনিবারও গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আসার আগে খুব গুরুত্বপূর্ণ এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে কত ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারি। এখানে যে উইকেটটা দেখছি নিউজিল্যান্ডের উইকেটটা এমনই হয়ে থাকে। এরপর কুইন্সটাউনে কয়েকদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাব তো আমার মনে হয় আমরা যে কষ্টটুকু করছি আগে এসে সেটা খুব ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারছি।’
সিরিজের অনেক আগে আসার কার্যকারিতা উল্লেখ করে সাবেক এ অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগবে এই সিরিজে কারণ এখানকার কন্ডিশনের আমাদের কন্ডিশনের থেকে একেবারেই ভিন্ন। হয়ত ডানেডিনে ঠাণ্ডা একটু বেশি থাকবে। উইকেট কিন্তু এরকমই থাকবে। তো আমার মনে হয় আমাদের যে একটু আগে আসা এটা খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারছি।’
ক্রিকেটাররা অনুশীলনের জন্য প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধায় খুশি। তারাও সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া। হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেটুকু কথা হয়েছে সবাই খুব খুশি। যেটুকু সময় পাচ্ছেন তারা খুব ভালো মতো কাজে লাগাতে পারছেন। খুব বেশি সময় যদিও পাচ্ছেন না তবে যতটুকু সময় পাচ্ছেন খুব ভালো মতো কাজে লাগাচ্ছেন।’
বাংলাদেশে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সিরিজ খেলেছেন তামিমরা। যেখানে পুরো সিরিজ জুড়েই বলয়ের মাঝে থাকতে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে অবশ্য ১৪ দিন পার হলেই মুক্ত হয়ে চলাফেরা করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। যা স্বস্তি দিচ্ছে হাবিবুল বাশারকেও। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এখানে অনেক বড় একটা সুবিধা এই ১৪ দিন পরেই কিন্তু আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারব যে কোন জায়গায় যেতে পারব এবং খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবো।’