লর্ডসে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে চলমান টেস্ট সিরিজের চতুর্থ দিনে বিতর্কের ঝড় উঠলো। দুই ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ররি বার্নস ও মার্ক উডকে তাদের স্পাইক দিয়ে মাঠের মধ্যেই বলকে মাটিতে ঘষতে দেখা যায়। সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ অনেকেই ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ আনেন।
চতুর্থ দিনে শুরুটা ভাল করেও তিন দিনের পর তুলনামূলক অনেকটাই মন্থর গতির উইকেট থেকে খুব বেশি সাহায্য তুলতে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ড বোলাররা। উপরন্তু, রোদের উপস্থিতিতে বল খুব বেশি সুইংও হয়না। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়োতে ইংলিশ ক্রিকেটারদের বলের ওপর স্পাইক দিয়ে ঘষতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিয়ো। বল বিকৃত করে অতিরিক্ত সুযোগ লাভের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রতিবাদে সরব হন নেটিজেনরা।
এমনকী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগও ঘটনার ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘এটা কী হচ্ছে? এটা বল বিকৃত করার চেষ্টা নাকী কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে ইংল্যান্ডের আরেকটি উপায়।’ বীরুর এক সময়ের ওপেনিং পার্টনার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়াও একই প্রশ্ন তুলে লেখেন, ‘বল বিকৃতি? ’
তবে ইংল্যান্ড বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে সতীর্থদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয় উডি (মার্ক উড) বার্নসির পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে ওকে নাটমেগ করার চেষ্টায় ছিল, যা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। ভুলবশত ও শটটা মিস করে এবং বলটা ওখানে চলে যায় (বার্নসের জুতোর তলায়)। স্ক্রিনশট না তুলে ভিডিয়োটা দেখো, খুব সহজেই সত্যিটা দেখতে পারবে।’
অপর এক ব্যক্তি দাবি তোলেন অনিচ্ছাকৃত হলেও এই ঘটনায় বলের আকার পরিবর্তন ঘটতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে ম্যাচ রেফারির বা আম্পায়ারদের বল বদলানো উচিত। এর উত্তরেও দমে না গিয়ে ব্রডের সপাট জবাব, ‘বলের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা তার ওপর পুরো প্রক্রিয়াটা নির্ভর করে। বল স্ট্যান্ডে গেলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি বলের কিছু না হয়, তব বদলের দরকার কী?’