চলতি বছরের আগস্ট মাসে ১৮১ কোটি (১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার বেশি।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। অবশ্য চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস আগস্টে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিলো। গত মাস আগস্টেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমে গিয়েছে। গত বছর আগস্টে ১৯৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত আগস্ট মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার। বরাবরের মতোই গত মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রায় ১৮ কোটি ৮০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংক ১৬ কোটি ২৫ লাখ, সোনালী ব্যাংক ১১ কোটি এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এই সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। বৈধ উপায়ে প্রবাসী আয় বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী, ঐ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে দুই টাকা প্রণোদনা পেয়ে আসছেন।