তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রণাকারী, পরিকল্পনাকারী, পৃষ্ঠপোষক, সমর্থনকারী, সবকিছু মিলিয়ে জাতিকে প্রকৃত একটি সামগ্রিক ধারনা দিতে গেলে, একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন করা দরকার। একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা দরকার। এই তদন্ত কমিশন ও শ্বেতপত্র জাতিকে সকল বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি দেবে। এতে এই খণ্ডিত ইতিহাস চর্চার সমস্যা, সঙ্কট, সেই সঙ্কট থেকেও আমাদের বাঁচাবে।’
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তালেবানদের আফগানিস্তান দখলের ঘটনা দেখে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশসহ আরও মুসলিম প্রধান দেশে গুলোতে একটা তালেবানি জোস ফুটে ওঠান লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সেই তালেবানি জোস এর প্রভাবে প্রভাবিত হতে সাম্প্রতিককালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সরকার উৎখাতের হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের কথা বলেও মূলত তারা বলপ্রয়োগ ও চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে একটা অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্র তাদের লক্ষ না, তাদের লক্ষ হচ্ছে যেকোনো পন্থায় সরকার উৎখাত করে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে ক্ষমতায় যাওয়া।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজ-দখলবাজ সিন্ডিকেট সুশাসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্থায়ী করা ও টেকসই করে গড়ে তোলা একটি বড় কাজ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাসদ সভাপতি বলেন, ১৪ দলীয় জোট এখনো সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গিবাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। আজও দেশে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী চক্র তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের রুখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট অব্যাহত থাকবে।
বিকেলে বাগেরহাট সার্কিট হাউসে জেলা জাসদের মতবিনিময়ভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বাগেরহাট জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সবুজ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, গোপালগঞ্জ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বিভূরঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।