সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিবৃতি ভুয়া বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন প্রত্যাহারের ওই বিবৃতিতে ছয় সমন্বয়ক-মো. নাহিদ ইসলাম নাহিদ, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুমের স্বাক্ষরও রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের এই স্বাভাবিক আন্দোলনকে কেউ যেন নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের পরবর্তী সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। সেই সাথে সরকারকে ৭ দিনের সময় বেধে দেওয়া হলো এই সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে তার কাজ করতে দিতে হবে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যদি এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সুতরাং সার্বিকস্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমরা আগামী ৭ দিনের জন্য আমাদের আন্দোলন প্রত্যহার করছি।’
বিষয়টি নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এই বিবৃতি ছড়ানো হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ব্যবহার করা হয় না। যে কেউ দেখেই বুঝতে পারবে, এটা ভুয়া।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে আজ শনিবার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফেসবুক লাইভে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান।
একইসঙ্গে আগামীকাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন তারা। ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।