পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২ শিক্ষার্থী নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। গুলির ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুইজন গুলি চালিয়েছেন।
নিহত দুইজন হলেন পাবনা সদর উপজেলার মহিবুল ইসলাম (১৬) এবং একই উপজেলার চর বলরামপু্র এলাকার জাহিদ হোসেন (১৮)। পাবনা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন জাহিদী হাসান ওই দুই শিক্ষার্থীদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, সদর হাসপাতালে আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটকে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ সেখানে জমায়েত হয়। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা শহরের প্রবেশ করেন। মিছিলটি মধ্যশহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বিক্ষোভ কর্মসুচি শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছেরে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘খুনি সরকারের পতন চাই, পতন চাই’, ‘এক দফা মানতে হবে’ এমন বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই ধরনের শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো শহর উত্তাল হয়ে ওঠে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোরার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা গুলি করা ব্যক্তিদের ধাওয়া দিলে তাঁরা অস্ত্রসহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারীরা শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের সামনে থাকা পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। হঠাৎ গুলির ঘটনা ঘটে। তবে খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। কারা গুলি ছুরেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
গুলি করার ঘটনার পর আবারও শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা তিনটায় এ খবর লেখা পর্যন্ত পাবনা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছিল।
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২ শিক্ষার্থী নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। গুলির ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুইজন গুলি চালিয়েছেন।
নিহত দুইজন হলেন পাবনা সদর উপজেলার মহিবুল ইসলাম (১৬) এবং একই উপজেলার চর বলরামপু্র এলাকার জাহিদ হোসেন (১৮)। পাবনা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন জাহিদী হাসান ওই দুই শিক্ষার্থীদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, সদর হাসপাতালে আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটকে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ সেখানে জমায়েত হয়। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা শহরের প্রবেশ করেন। মিছিলটি মধ্যশহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বিক্ষোভ কর্মসুচি শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছেরে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘খুনি সরকারের পতন চাই, পতন চাই’, ‘এক দফা মানতে হবে’ এমন বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই ধরনের শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো শহর উত্তাল হয়ে ওঠে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোরার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা গুলি করা ব্যক্তিদের ধাওয়া দিলে তাঁরা অস্ত্রসহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারীরা শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের সামনে থাকা পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। হঠাৎ গুলির ঘটনা ঘটে। তবে খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। কারা গুলি ছুরেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
গুলি করার ঘটনার পর আবারও শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা তিনটায় এ খবর লেখা পর্যন্ত পাবনা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছিল।