সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এই দেশ সবার। আমাদের প্রাচীন ইতিহাসে দেখা যায় যে বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি ও উপজাতি সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে এসেছেন। এই ঐতিহ্যের ভিত্তিতে আমরা ভবিষ্যতেও সবাই একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করবো। এখানে কোনও জাতি বা ধর্মের বিভাজন থাকবে না। সকলেই এই দেশের নাগরিক, সকলের অধিকার সমান। আমরা চাই আমাদের সোনালী দিনের গল্প আবার যেন ফিরে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই জন্মাষ্টমী উৎসবে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত আছেন, বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজে চারিদিক আয়োঁজা। এই আনন্দের অনুষ্ঠানে আমাদের সহযাত্রা ক্লান্তিহীন ও হৃদয়স্পর্শী। এই ঐতিহাসিক মিছিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি মাননীয় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে আমাদের দেশের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখব। এই দেশ সবার, আমাদের প্রতিজ্ঞা, সবাই একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাস করব। অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন, পাশাপাশি রয়েছে নবম পদাতিক ডিভিশন। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকবো এবং আপনারা নিশ্চিন্তে দেশভাগে জীবনযাপন করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, তারা সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবেন। ধর্মীয় উৎসব বা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করতে পারবেন। এই আনন্দ উৎসবে আমরা সবাই অংশ নেবো এবং এই উৎসবের গৌরব বৃদ্ধি করবো।’ শেষে, তিনি ঘোষণা করেন যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সবজায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক, যেন আমাদের জীবন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে যা বন্ধ হয়েছিল, সেই ঐতিহ্য আবার ফিরে এসেছে। সেনাবাহিনী সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিন বাহিনী প্রধান এই পবিত্র অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।