গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর প্রতিমূর্তি আর শ্রদ্ধা জানানোর সময় ঘটে যায় একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যেখানে রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমান মারধরের শিকার হন। এরপরই তাকে পুলিশে দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে অনেক বিতর্কের মধ্য দিয়ে তিনি এই মামলায় জামিন পেয়েছেন ১৭ আগস্ট। তবুও এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, তার গ্রেফতার কিসের ভিত্তিতে হয়েছিল, এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে ধানমণ্ডির থানার ওসিকে।
রোববার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনাটির বিষয়ে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন সন্দেহভাজন হিসেবে মামলার আর্জি জানিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করতে ও তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশও তদন্তে নেমেছে। পুলিশে জানানো হয়েছে, ঘটনার পেছনে কি সর্বোপরি কোনো অসঙ্গতি বা আইনগত দুর্বলতা রয়েছে কি না, তা তদন্তের আওতায় এনে দেখা হবে। এছাড়াও, দায়েরকৃত মামলার ব্যাপারে আজিজুর রহমানের সঙ্গে কি ধরনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা যাচাই করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা অনুসারে।
অন্যদিকে, এই মামলায় আজিজুর রহমানের পক্ষে জামিন পাননি, বরং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তার পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন করেন, যেখানে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে জামিনের আদেশ দেন।
সারসংক্ষেপে, এই ঘটনা এখনো সমসাময়িক ও আলোচনায় রয়েছে, যেখানে কীসের ভিত্তিতে একজন সাধারণ রিকশাচালককে গ্রেফতার করা হলো, তার যথাযথ ব্যাখ্যা চাইছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ। আলোচনা ও তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হওয়ার অপেক্ষায় সবাই।