টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রেরণাদায়ক পারফরম্যান্সের পরপরই আবার ব্যর্থতার মুখে পড়েছে দল। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগের পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির বিরুদ্ধে রোববার ডারউইনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভুগতে থাকে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর ফলে বাংলাদেশের ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে যায় এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা কেবল ১২৩ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে পার্থের জোরালো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা। পাওয়ার প্লে’তে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৫ রান ওঠার সাথে সাথে বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটারকেই উইকেট হারাতে হয়। পুরো ইনিংস জুড়ে কেবল চারজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান তুলতে সক্ষম হন, বাকিরা যাও-আসা-মিছিলে পরিণত হন। প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা আশার বাণী শোনানো টপ অর্ডার ব্যাটাররা আজ ব্যর্থ হন। জিসান আলম ও সাইফ হাসান দ্রুত ফিরে গেলেও আফিফ হোসেন দলকে কিছুটা হাল ধরেন। তিনি ধীরগতিতে ৪৯ বলের খেলায় ৪ চারে ৪২ রান করেন, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষের দিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৮ বলে ১৪ এবং রাকিবুল হাসান ৫ বলের খেলা দেখে ১৬ রান করে দলকে মোটামুটি একটি সম্মিলিত স্কোর দিতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বোলাররা শুরুতেই দারুণ প্রত্যয়ের পরিচয় দেন— হাসান মাহমুদ প্রথম ১১ রানেই পার্থয়ের প্রথম উইকেট তুলে নেন। এরপর উইকেট পেতে থাকলেও পার্থের রানের চাকা থেমে থাকেনি। ১৩ ওভারে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য কিছু আশার আলো সৃষ্টি হয়, তবে সেটি বেশিক্ষণ টেকসই ছিল না। পার্থের মিডল অর্ডার ব্যাটার জোয়েল কার্টিস ও ম্যাথিউ স্পোর্সের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কার্টিস ৩৪ বলে ৪ চারে ৪৪ রান ও স্পোর্স ১৬ বলে ৩ চারে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন কার্টিস। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশের ‘এ’ দল ২০ ওভারে ১২৩/৯ (জিসান ৯, নাঈম ৫, সাইফ ১, আফিফ ৪২*, অঙ্কন ৬, নুরুল ১৪, তোফায়েল ১, মৃত্যুঞ্জয় ১৪, রাকিবুল ১৬, হাসান ৪; বাঁউচ ৪-০-২০-১, জ্যাকসন ৪-০-৪৫-৩, আলবার্ট ৪-০-২১-২, কোরি ৪-০-১৫-১, স্পোর্স ৪-০-১৭-১)। পার্থ স্কর্চার্স তাদের লক্ষ্য সহজে অর্জন করে এবং জয় ছিনিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা আবারও প্রকাশ পেল।