পাকিস্তান শাহিনের মতো শক্তিশালী একটি দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘এ’ দল শুরু থেকেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। তাদের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও জিশান আলমের ঝোড়ো আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে-তেই তারা রীতিমতো রানবন্যা বইয়ে দেয়। এই উজ্জীবিত শুরু দলের জন্য বড় রান তাড়ার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করে। তবে, এই শক্ত ভিত গড়ে দাঁড়িয়েও অন্য ব্যাটসম্যানরা খুব একটা লড়াইয়েестерাতে পারেননি। এর ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে হার মানে।
ডারউইনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান শাহিনস ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ইয়াসির খান। বাংলাদেশের জন্য এই রান আগলে রাখতে ৩৪ রানে এক উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সময়ের ১৬ ওভারে ৫ বল বাকি থাকতে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানই করতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য প্রথম ওভারে নাঈম শেখকে হারানো ছিল বড় ধাক্কা। এই ওপেনার চার বলে ৫ রান করেন। এরপরও সাইফ হাসান একটি ঝড়ো শুরু করেন, তিন নম্বরে নেমে তিনি রীতিমতো টর্নেডো চালান। তার মতোই আক্রমণাত্মক ছিলেন জিশানও। দু’জন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুড়িতে ৮৬ রান যোগ করেন। তবে, জিশান ১৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে সেই জুটি ভেঙে যায়।
সাইফের ব্যাটে ব্যক্তিগত ফিফটি আসে। তিনি ৩২ বলে ৫৭ রান করেন, যা তার টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে উল্লেখযোগ্য। তবে, তার বিদায়ের পর থেকে কেউই সুবিধা করতে না পারায় দল দ্রুত খাতায় নেমে আসে। আফিফ হোসেন ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের আউট হওয়ার কারণে বাংলাদেশ দ্রুতই অলআউট হয়ে যায়, যা তাদের ৭৯ রানে হারের কারণ হয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান শুরুতেই ধারাবাহিক আক্রমণে ব্যস্ত ছিল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার খাজা নাফি ও ইয়াসির খান রীতিমতো ঝড় তোলেন। তাদের ব্যাটে ভর করে দল বেশ শক্ত ভিত গড়ে তোলে। নাফি ৩১ বলে ৬১ রান করে রান আউট হলে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ইয়াসিরের ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস ৪০ বলের মধ্যে ৬২ রান করে। তিনে নেমে আব্দুল সামাদ অপরাজিত ৫০ রান করেন ২৭ বলে, আর ইরফান খান ১২ বলে ২৫ রান তুলে দলের সম্মান রক্ষা করেন।