সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম বিতরণ শুরু হতেই বাজারে তার প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে। সোমবারের সকালে শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমে গেছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি বাজারে দেশের পেঁয়াজের দামমানের পরিবর্তন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি হলে আগামী দিনগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।
ভোমরা কাস্টমসের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রোববার প্রথমবারের মতো ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে সাতটি ট্রাকের মাধ্যমে ২০২ মেট্রিক টন পণ্য ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর সোমবার আরও ২৫ ট্রাকের মাধ্যমে মোট ৭৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। দুই দিন মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩২ ট্রাকের মাধ্যমে ৯৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে এসেছে।
বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরার বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, “ভারতীয় পেঁয়াজের প্রবেশের ফলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম এখন কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা কমে গেছে। আশা করছি, আরও বাড়তি সরবরাহের ফলে দাম আরও নেমে আসবে।” তিনি আরও জানান, এখন দেশি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা কেজি, যা খুব শীঘ্রই কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর এই প্রথম রোববার সন্ধ্যার দিকে দেশের বিভিন্ন বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ শুরু হয়। সোমবারের মধ্যে আরও ২৫ ট্রাকের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলে দ্রুতই বাজারের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে আসবে।
ভোমরা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মোঃ শওকত হোসেন বলেন, ‘রোববার থেকে ভোমরায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে মোট ৩২ ট্রাকের মাধ্যমে ৯৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। এর আগে শেষবার এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল গত ২৭ মার্চ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম কমে যাবে।’