পাকিস্তানের আধিপত্যশীল ব্যাটিংয়ের ফলে বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের শো-ডাউন শুরুতেই উজ্জ্বল উদাহরণ দেখিয়েছে, যেখানে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন ইয়াসির খান, যিনি দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলের বিপর্যয় পতন রুখে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩৪ রানে এক উইকেট লাভ করেছেন হাসান মাহমুদ। জবাবে বাংলাদেশ শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে, প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ নাঈম শেখকে হারায় ৫ রানে। যদিও প্রতিপক্ষের আক্রমণের মাঝে সাইফ হাসান ও জিশান আলমের উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলো, যা জোড়া উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ করেছেন। সাইফ ৩২ বলে ৫৭ রান করে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন। তবে তার বিদায়ের পর আর কেউই আধিপত্যের মান বজায় রাখতে পারেনি। আফিফ হোসেন ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দ্রুত পতনের কারণে বাংলাদেশ অপ্রতিদ্বন্দ্বী অসঙ্গতিতে পড়ে, যার ফলে তারা পুরোপুরি আউট হয়ে যায়। এর আগে, পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটার খাজা নাফি ও ইয়াসির খান দুর্দান্ত সূচনা করেন, তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত্তি তৈরি হয় দলটির জন্য। খাজা ৩১ বলে ৬১ রান করে আউট হলেও ইয়াসির বেশিদূর যাননি, তবে ৪০ বলের বিপুল ৬২ রান করেন। তারপর, তিনে নামা আব্দুল সামাদ ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন। এই ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পাকিস্তান নির্ধারিত লক্ষ্য ছুঁই ছুঁই করে ফেলেছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কঠিন পরিস্থতি, যা তাদের পরবর্তী ম্যাচে উন্নতি করতে সাহস দেয়।