ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এ বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে, নির্বাচন পূর্বকালীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অংশগ্রহণের জন্য সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এই মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান মূসাও উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে সবাই যাতে মতামত দিতে পারে, এ জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াত। নির্বাচন বিঘ্নিত করতে সন্ত্রাস ও অনিয়ম রোধে ভোট পদ্ধতিতে সাধারণতঃ প্রোপোরশনাল রিটেনশন (পিআর) বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি গ্রহণের কথা ভাবছে তারা। তিনি আরও বলেন, সবাই যদি চাই, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পদ্ধতিতে ভোটের ফলাফল বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সংবেদনশীল থাকবে। ফলে, জনগণের ইচ্ছার সঠিক প্রতিফলন হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন। জামায়াত এই ধরণের একটি নির্বাচনের জন্য মাঠে থাকবে, পাশাপাশি তারা প্রস্তুতি নিবে।
এক প্রশ্নে, অন্য কোনো আসনে তারা পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে কি-না, জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা বিষয়টি আলোচনা করেছি।’
পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত কি নির্বাচন করবে কি না, এই প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে, তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই ফেয়ার ইলেকশনের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করেছি। এই পদ্ধতিটিও আমরা দেশের জন্য উপকারী মনে করি এবং মনে করি এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এক উত্তম পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের সঠিক মূল্যায়ন হবে, যা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে।
জামায়াতের এই প্রতিনিধি দল যোগ করেছেন, তারা এমন সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে যা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে তারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। বর্তমানে তারা তিনশো আসনের প্রার্থী দিয়ে মাঠে অবস্থান করছে ও সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণে সক্রিয়।
এর আগে, রোববার নির্বাচনীয় প্রস্তুতি ও অগ্রগতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের এক বৈঠক হয়েছে।