সরকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হলেও, তাদের জন্য কিছু আয়ের উপর কর দেয়া থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোট ৪২ ধরনের আয়ের উপর কর আরোপ করা হবে না। এই আয়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃত ভাতা ও সুবিধা, যার মাধ্যমে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন প্রকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। উল্লেখযোগ্য এই আয়ের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, কর্মভার ভাতা, পাহাড়ি ভাতা, ভ্রমণ ও যাতায়াত ভাতা, টিফিন ও পোশাক ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ধোলাই ভাতা, বিশেষ ও প্রেষণ ভাতা, প্রশিক্ষণ ও জুডিশিয়াল ভাতা, চৌকি ভাতা, ডোমেস্টিক অ্যালাউয়েন্স, ঝুঁকি ভাতা, অ্যাকটিং অ্যালাউয়েন্স, মোটরসাইকেল ভাতা, আর্মরার অ্যালাউয়েন্স, নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা, টেলিকম অ্যালাউয়েন্স, ক্লিনার অ্যালাউয়েন্স, ড্রাইভার ভাতা, মাউন্টেড পুলিশ ও পিবিএক্স ভাতা, সশস্ত্র শাখা ভাতা, বিউগলার অ্যালাউয়েন্স, নার্সিং অ্যালাউয়েন্স, দৈনিক বা খোরাকি ভাতা, ট্রাফিক অ্যালাউয়েন্স, রেশন মানি, সীমান্ত ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ইন্সট্রাকশনাল অ্যালাউয়েন্স, নিযুক্তি ভাতা, আউটফিট ও গার্ড পুলিশ ভাতা।
তবে, উল্লেখ্য, মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এই আয়ের উপর নির্ধারিত হারে আয়কর দিতে হবে।
এছাড়াও, গত বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায় যে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কর বর্ষের জন্য ৪ আগস্ট থেকে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম ১০ দিনে, ইতিমধ্যে ৯৬,৯৪৫ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবারের ই-রিটার্ন দাখিলের দৈনিক গড় সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এর মাধ্যমে দেশের করদাতাদের জন্য এই প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত হয়েছি, যা কর আদায় প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।