নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি আধা-গোড়া ঘরে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে নারী ও শিশুসহ মোট নয় জন দগ্ধ হন। তাদের সবাইকে দ্রুত ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোররাতে (২৩ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাজিল গ্রামে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল এটি গ্যাস লাইন থেকে আগুন লাগার কারণে হয়েছে, কিন্তু পরে জানা যায় ফ্রিজের কম্প্রেসার থেকেই বিস্ফোরণ হয়। ফলে ঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং ওই ঘটনায় পরিবারের নয়জন দগ্ধ হন।
আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি, ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে ফুটো হয়েছে। ওই বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এতে পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ হন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ঘর বা আশপাশে অন্য কোনও গ্যাসের গন্ধ বা আলামত পাওয়া যায়নি। সব কিছুই নির্দেশ করে যে, ফ্রিজের কম্প্রেসার থেকেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছিল।”
ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন— দিনমজুর তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), তাদের দুই সন্তান তৃষা আক্তার (১৭) ও আরাফাত (১৫), সঙ্গে আরও একজন দিনমজুর হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) ও তাদের তিন সন্তান ইমাম উদ্দিন (১ মাস), জান্নাত (৪), ও মুনতাহা (১১)।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন, “ভোরে হাসপাতালে আনা ৯ জন দগ্ধ রোগীর মধ্যে হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, আসমার ৪৮ শতাংশ, তৃষার ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ এবং এক মাসের শিশু ইমামের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তবে তানজিল ইসলামের শরীরের আঘাতের গুরুত্বরতা কম হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়ি পাঠানো হয়েছে।”
ঘটনাস্থলে থাকা দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রকিবুল জানান, তার ভাই ও ভগ্নিপতি দিনমজুরের কাজ করতেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের একটি আধা-সেমিপাকা ঘরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণের মাধ্যমে। এতে তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ হন। পরে দ্রুত তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।