মহানগর বিএনপি সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বৈষম্য ও অন্যায্যতার জাঁতাকলে জনগণ যেন জর্জরিত হয়ে পড়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানে সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, এখন যারা পিআর (প্রচারণা) পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চাইছে, তারা মূলত পেছনের রাস্তা দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের চেষ্টা করছে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যোমতই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণঅভ্যুত্থানের মূল ভাবনাকে বিপন্ন করে। এই পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বসতি ও ভারতের প্রভাবে দেশের সার্বভৌমত্বক্ষুণ্ন করার অপশক্তি সক্রিয় হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের স্বপক্ষের শক্তিগুলো শক্তি সমন্বয় করে সব দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল রবিবার সকালে খুলনা টাউন জামে মসজিদ চত্বরে এবং পাইওনিয়ার স্কুল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণের আগে、র উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এই কথা তিনি বলেছেন। বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য শফিকুল আলম মনা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ পতনের মুখে থাকলেও তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতেপ্রয়োজন সচেতন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নেতৃত্বে একটি স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। এই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এস এম নুরুল আলম দিপু, পাশাপাশি অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি নেতা বদরুল আনাম, মো. খায়রুল ইসলাম, আশরাফুল আলম নান্নু, ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম খান জুয়েল, মোফিজুল সরদার, শহিদুল ইসলাম, সাহারুজ্জামান মুকুল ও জিয়াউর রহমান প্রমুখ।