ভারতের বিহার রাজ্যে নিভৃত পর্যবেক্ষণের নামে ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম অবৈধভাবে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জোরালো প্রত্যাখ্যান জানিয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এই ধরনের তালিকা হালনাগাদ ও সংশোধনের নামে ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে সরকারের এই প্রচেষ্টা মূলত ভোট চুরি করার একটি প্রাতিষ্ঠানিক পন্থা, যা নির্বাচন কমিশনের কূটচালে পরিচালিত। রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে বিহার জুড়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন। রোববার তিনি আরারিয়ায় এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ সব কথা বলেন। তিনি তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ওপর। তিনি দাবি করেন, মোদি সরকার বিহারে বিশেষ করে ভোটার তালিকা সংষ্করণ (এসআইআর) এর মাধ্যমে দরিদ্রদের ভোট চুরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। রাহুল গান্ধী এই প্রক্রিয়াকে বলে, ‘ভোট চুরির এক প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি’, যা নির্বাচন কমিশনের অনুকূল চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে চলে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি খাতের বিভিন্ন সংস্থা বেসরকারিকরণের পর এখন এসআইআর এর মাধ্যমে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার হরণ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। কংগ্রেসের এই নেতা নির্বাচন কমিশনকে ‘নির্বাচনী ওমিশন (ব্যর্থতা)’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক ও বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য করে সমাজের ক্ষুদ্র প্রান্তিক অংশগুলোকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা। রাহুল গান্ধী বলেন, সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাই তিনি মনে করেন, এসআইআর আইনসভা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যাহত করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিহারের মানুষ বিজেপি ও তার মিত্রদের উপযুক্ত জবাব দেবে এবং নির্বাচনে তাদের ভোট দিয়ে সচেতন ও শক্তিশালী প্রান্তিকে প্রাধান্য দেবে।