দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচির ব্যাপক ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুয়েটসহ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটে তাদের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কিছুটা স্তব্ধ থাকে কর্মসূচির উদ্যোগ। বুয়েটের এক সরাসরি সংযুক্তiz শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দুপুরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখনো শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবরোধ করেনি বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়নি।
প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের প্রধান তিনটি দাবির মধ্যে রয়েছে— ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ শব্দটি ব্যবহার করতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি না দেওয়া এবং স্নাতক প্রকৌশলীর জন্য দশম গ্রেডে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।
অপরদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে শাহবাগের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও পাঁচ দফা দাবি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই দাবিগুলোর মধ্যে প্রধানগুলো হল—
১) প্রকৌশল আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে ও তার জবাবদিহি করতে হবে।
২) প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে গঠিত কমিটিকে অযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত নতুন এক কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে শিক্ষক এবং মূল stakeholders অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই কমিটির মাধ্যমে তিন দফা দাবিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
৩) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডিসি মাসুদকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।
৪) হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দ্বারা কোনো ধরনের additional হামলা সহ্য করা হবে না।
৫) রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন যে, দাবি না মানা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি মানা না হলে সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।