গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে গঠিত হয়েছে একটি অন্তর্বর্তী সরকারী গুম কমিশন। এখন পর্যন্ত তারা মোট এক হাজার ৮০০-এর বেশি অভিযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে গুম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘রিপ্রেশন টু রেভলুশন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এই তথ্য জানান গুম কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তিনি জানান, এই কমিশনের তদন্ত একান্তভাবে তথ্য সংগ্রহের ওপর কেন্দ্রীভাবিত, তাদের কোনো রিমান্ড বা গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই। আমরা শুধু ভুক্তভোগী, সাংবাদিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কাজ করছি। নূর খান আরও উল্লেখ করেন, যারা এই গুমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং জড়িত ছিলেন, তাদের অনেকেই আজও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, যা কাজ চালিয়ে যাওয়াকে কঠিন করে তুলছে। তিনি জানান, ৩০০ জনের বিষয়ে হয়েছে কিছু স্পষ্ট তথ্য, কিন্তু জানানো হয়নি কোথায় রাখা হয়েছিল তাদের। এছাড়া, কাউকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল কারা এবং তারপর কোথায় নিয়ে গেছে, তার সম্পর্কে কিছু ফাঁক রয়ে গেছে। তিনি আগামী ডিসেম্বরে তাদের কাজের একটি অংশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, তবে একদিকে সমস্ত অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন একবারে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।