থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি আদালত। সম্প্রতি একটি ফোনকলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তা জনসম্মুখে আসে, যেখানে তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে উল্লেখ করেন। এই ফোনকলে তার সেনা বাহিনীর সমালোচনা এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে ১৫ জুনের ফোনকলটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি তিক্ততর হয়ে উঠে। এই ফোনকলের রেকর্ড ভাইরাল হলে দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনী ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয় পেতোংতার্নকে। তিনি তখন দাবি করেন, তিনি দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সরকারের প্রতি অবমূল্যায়ন, দেশের স্বার্থের সাথে আপোষের অভিযোগ উঠেছে। গত ১ জুলাই আদালত তার প্রধানমন্ত্রীর পদ স্থগিত করে দেয়, যদিও তিনি বর্তমানে সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে মোট পাঁচজন থাই প্রধানমন্ত্রী আদালতের রায়ে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।