ছাত্র-জনতার কেন্দ্রস্থলে থাকা জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। বর্তমান সময়ে দেশটি একটি সুসংহত গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার পথে হাঁটছে। এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে এসেছে শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই অভ্যুত্থান সুদূরপ্রসারী গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। সেটি দেশের রাজনৈতিক সেতুবন্ধনকে আরও মজবুত করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো জ্বালিয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরতে চাই না। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তরুণরা এই পরিবর্তনের জন্য সচেতন থাকবেন। বরেণ্য মালয়েশীয় শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মাজলি বিন মালিক মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি যোগ করেন, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানোত্তর সংস্কারের সিদ্ধান্ত কেবল বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং এটি বিশ্বের অন্য দেশের জন্যও একটি মাইলফলক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারদারাজান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার ভবিষ্যতের অর্থনীতির দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে। তিনি কথা বলেন: বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা মার্কিন শুল্কবিধানের পরিবর্তন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সম্ভব হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে, বাংলাদেশ এখন নতুন ইতিহাসের পথে হাঁটছে এবং এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সংকেত।