বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আপিল বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট মামলার পুরনো রায় পরিবর্তন করে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছেন। এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সাজা এই রায়ে বাতিল হয়নি। পাশাপাশি, হাইকোর্টের আগে দেওয়া তদন্তের পর্যবেক্ষণগুলোও এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই মামলার নতুন তদন্তের দায়িত্ব সরকারের।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা বজায় থাকল, যেখানে আসামিদের খালাসের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে এই রায় unanimously প্রদান করেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির, এর পক্ষ থেকে মামলার শুনানি করেন। সেখানে বিএনপির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন, যেমন- জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশে সব আসামি খালাস পান। ওই রায়টি বিচারিক আদালতের পূর্বের রায়ের বিরুদ্ধে ছিল, যেখানে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বেশ কিছু নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই রায় বলে, মামলার বিচার প্রক্রিয়া অবৈধ ও অকার্যকর।
এই মামলায় বিশেষভাবে উল্লেখ্য এর আগে দেয়া নিম্ন আদালতের রায়, যেখানে ২০১৮ সালে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে তথ্য অনুযায়ী, অনেক আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ২১ আগস্টের হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২৪ জন, ঢাকার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যাতে সে সময় বেশ ক’জন নেতা-কর্মী আহত হন।