চট্টগ্রামে সম্প্রতি শুরু হয়েছে একটি নতুন আঞ্চলিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, যা দেশের ক্রিকেটের বিকাশ ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। এই টুর্নামেন্টটি বিসিবির অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেটের কার্যক্রম বিস্তৃত করা এবং বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়াকে সফল করা। এতে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে যে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্রিকেট কাঠামো কার্যকর হলে জেলা পর্যায়ের প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা নিয়মিত খেলতে পারবে, যারা এখনো জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। হাবিবুল বাশার বলেন, আঞ্চলিক ক্রিকেট চালু হলে স্থানীয় লিগ ও টুর্নামেন্টের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে সুযোগের সীমাবদ্ধতা দূর হবে এবং অন্য সব অঞ্চলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাবে। তিনি আরো মন্তব্য করেন, রিজিওনাল ক্রিকেট চালু হলে হিডেন প্রতিভাবানরা আর অজেয় থাকবেন না; তারা টুয়েন্টি-ওয়ানডে ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে পারবে। আকরাম খান এই টুর্নামেন্টকে ‘পাইলট প্রকল্প’ হিসেবে উল্লেখ করে বললেন, ‘আমরা এটি ছোটো একটি ঝুঁকি নিয়ে শুরু করেছি। এটা এখন এক ধরনের সিজন না হলেও ভবিষ্যতের জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে।’ তিনি জানান, চট্টগ্রামের ১১টি জেলা আগে কখনো একসঙ্গে খেলেনি, আজ থেকে তারা একটি সুযোগ পাচ্ছে। এটি কেবল চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের জন্যই না, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আগামী দিনের সাকিব ও তামিমদের খুঁজে আনার ক্ষেত্রে স্কুল ক্রিকেটের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ সেন্ট্রাল হলেও আঞ্চলিক ক্রিকেটের সাথে সমন্বয় হলে এর বিস্তার আরও আরও বাড়বে। বিকেন্দ্রীকরণ শুধু প্রতিযোগিতা নয়, প্রতিটি জেলায় নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করতে সাহায্য করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনে সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা এখনও স্কুলে থাকাকালীনই খুঁজে বের করা সম্ভব, এজন্য এবার আমরা স্কুল ক্রিকেটের পুনঃসংগঠন ও উন্নতিতে গুরুত্ব দেব।