দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বুধবার দিনশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত রোববার দেশের রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন গ্রস রিজার্ভ এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সব তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে, বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর মাধ্যমে ২.০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর, দেশের রিজার্ভ কমে যায় এবং গ্রস রিজার্ভ পৌঁছায় ২৯.৫৩ বিলিয়নে। বিপিএম৬ অনুসারে, এই সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
অপরদিকে, রেমিট্যান্সের প্রাধান্যসূচক প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে, জুন মাসের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলারে, যা দীর্ঘ ২৮ মাসে সর্বোচ্চ স্তর। এর আগে, মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে গিয়েছিল। জুনের শেষে, বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের জুনে ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২১ সালে আগস্টে রেকর্ড পরিমাণ এই মুদ্রার রিজার্ভ crossing ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে এরপর ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে। ২০২৩ সালের জুলাই শেষে, এই রিজার্ভ ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সরকার পতনের পর থেকে, অর্থ পাচার কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে ডলার প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, হুন্ডির ব্যাপক হ্রাসের কারণে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়িয়ে, ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।