সম্প্রতি ভারতের কোচির এনার্কুলাম এলাকায় একটি বারে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন নারী প্রযুক্তিবিদকে অপহরণ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা এখন উত্তপ্ত শহরটির আলোচনায়। ওই নারী অভিযোগ করেন যে, ঘটনার পর তিনি এনার্কুলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তখন থানায় দায়ের করা মামলায় জনপ্রিয় মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী লক্ষ্মী মেননের নাম প্রথম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এছাড়াও তাঁর তিন বন্ধু অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এনার্কুলাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টা ছিল হাতাহাতির প্রতিশোধ। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ওই দিন রাতে বারে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের পরাগ ভায়া উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর তারা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও ঝগড়া শুরু করেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে থাকায়, ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর বন্ধুরা পরিস্থিতি থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে।
অবশেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এনার্কুলামর উত্তর রেলওয়ে ওভারব্রিজে পৌঁছালে, পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা তাদের গাড়িটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়। এরপর তারা তার মুখ বাঁধে ও মারধর করে। বিষয়টি নজরে আসে সিসিটিভি ক্যামেরায়, যেখানে দেখা যায়, ওই সময় অপহরণের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি। পুলিশ সেই ফুটেজের বিশ্লেষণে পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।
এদিকে, অভিযোগকারীর নাম আলিয়ার শাহ সলিম। তিনি এনার্কুলাম এলাকার একজন প্রযুক্তিবিদ। তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটেছে একটি বারে। দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয় এবং পরিস্থিতি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পালানোর চেষ্টা করার সময়, অভিযুক্তরা তার গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে। পরে, রাতের ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অপহরণের বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরের রেলওয়ে ওভারব্রিজের কাছে তার গাড়ি থামানো হয়, এবং তাকে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়।
একদিকে এই ঘটনা আলোচনায় আসছে, অন্যদিকে লক্ষ্মী মেননের বিনয়নের নির্মাণে ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাঘাবন্তে স্বত্তম রাজিয়া’ সিনেমায় debut এর মাধ্যমে তার অভিনয়াঙ্গণে প্রবেশের ঘটনা। বর্তমানে তিনি ‘সুন্দরপান্ডিয়ান’, ‘কুট্টি পুলি’, ‘জিগারথান্ডা’ ও ‘মিরুথান’ প্রভৃতি মালায়ালাম ও তামিল অঙ্গনে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে হাজির।