কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রী সুমাইয়া আফরিন (২৪) ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
সুমাইয়া কুবির লোক প্রশাসন বিভাগে ১৬তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী। তারা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
বাসার মালিক আনিসুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এই বাসা ভাড়া নেন। তাঁর মৃত্যুর পর, তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৫০) ও সন্তানরা এ বাসায় থাকতেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তাদের খুব একটা দুরত্ব ছিল না।
গতরাতের ঘটনা বিশ্লেষণে জানা যায়, নিহতদের দুই ছেলেও ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে এসে দরজা খোলা দেখতে পান। শুরুতে তারা মনে করেন, তাদের মা ও বোন ঘুমাচ্ছেন। তবে অনেক সময় পেরোতে পেরেও যখন দরজার বাইরে কোনো সাড়া শব্দ শোনা যায়নি, তখন তারা বাসায় প্রবেশ করে দেখেন, মা ও বোন নড়াচড়া করছেন না। এরপর তারা ৯৯৯-এ জরুরি কল করেন, ও রাত গভীরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি পাজামা পরা অবস্থায় বাসায় প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে তিনি বাইরে বের হন, এরপর আবার ১১টা ৩৪ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন। তবে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের আগে আর কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মরদেহ দুটির মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও, সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, এ ঘটনাকে হত্যা ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।