শ্রম সংকটের কারণে বিদেশি শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে থাইল্যান্ডে। এর অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রথমে ১০ হাজার শ্রমিক আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকেও শ্রমিক আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। থাইল্যান্ডের কৃষি, নির্মাণ ও মৎস্যশিল্প দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা শ্রমিকরা এই খাতের মূল শক্তি। দেশের শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত কম্বোডিয়ার শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৬০৬ জন। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) অনুমান করছে, আরও প্রায় ৫ লাখ নিবন্ধনবিহীন কম্বোডিয়ার শ্রমিক থাইল্যান্ডে কাজ করছে। কিন্তু ২৪ জুলাই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষের পর অনেক শ্রমিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় কয়েক লাখ শ্রমিক শ্রমবাজার ত্যাগ করেছেন। ফলে শিল্পখাতে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। থাইল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রী পংকাভিন জুয়াংরুয়াংকিত বলেছেন, শ্রীলঙ্কা এখনই ১০ হাজার শ্রমিক পাঠাতে প্রস্তুত। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি শ্রীলঙ্কান শ্রমিক থাইল্যান্ডে কাজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। পাশাপাশি ক্যাবিনেট বৈঠকের সারে স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শ্রমিকরা মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কোরিয়ার শ্রমবাজারে কাজ করছেন। ভালো মজুরি ও কর্মপরিবেশের কারণে তারা বেশ জনপ্রিয়, তবে এখনও থাইল্যান্ড বাংলাদেশীদের জন্য খুব বেশি গন্তব্য হয়নি। তবে বর্তমান সংকট নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে দেশের বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ৮.১ শতাংশ। এর অর্থ, স্থানীয় শ্রমিকের অভাব বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। থাইল্যান্ড চেম্বার অব কমার্সের গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক আনুসর্ন তামাজাই বলেছেন, ‘থাইল্যান্ডের শ্রমনির্ভর শিল্প বিদেশি শ্রমিক বWithout more context or information about the specific news article, it’s challenging to add further elaboration. If you’d like, I can help expand or clarify specific parts or provide a more detailed version based on additional details.