আগামী বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, এশিয়া কাপের ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল হংকং, তবে দলটি বাংলাদেশকে আগাম হুমকি হিসেবেও দেখছে। হংকং এই ম্যাচে জয় তুলে পয়েন্ট সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মূলত, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কারণে হংকং নিজেদের ক্ষমতায় ভরসা রাখছে। দলের কয়েকজন ক্রিকেটার যদি ভালো খেলেন, তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অলরাউন্ডার নিজাকাত খান। তিনি বললেন, আমরা এই বিশ্বাসে ভরপুর। আমাদের দলে এমন খেলোয়ার রয়েছে যারা একাই ম্যাচ বদলে দিতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট দিনে যে খেলোয়াড় ভালো পারফরমেন্স করবেন, সেই দলই জিতবে। এই খেলা ২-৩ ওভারের, তাতে যদিও কারো পারফরমেন্স পুরো ম্যাচের ফল বদলে দিতে পারে। টি-টোয়েন্টি সত্যিই এক রহস্যময় খেলা। কখন কি হবে, কেউ জানে না। আমাদের দল প্রস্তুত, এবং আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে খেলার জন্য উত্তেজিত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আতঙ্কের কোনো স্থান নেই। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেললে জেতাই অবধারিত। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেললেও বা দুর্বল মনে হলেও ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে। অতীতেও আমরা এমন দেখেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রথম বল থেকে নিজেদের সর্বোচ্চ দেওয়া। মুখিয়ে আছি খেলার জন্য।
হংকং মনে করে, বাংলাদেশিরা কষ্টেই সহজে হারানো যাবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, যা তাদের বাড়তি তকৎ দেয়। নিজাকাত খান বলেন, ওদের অনেক ভালো ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। তারা বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। এই খেলা আতঙ্কের কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে যদি খেলোয়ারটি ভালো করেন, জেতা সম্ভব। শক্তিশালী বা দুর্বল দলের সঙ্গে খেললেও এই কথা প্রযোজ্য। অতীতেও দেখা গেছে, আমরা এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, প্রথম বল থেকে শুরু করে। খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।
অতীতের এক অনুকরণীয় মুহূর্তে, ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হংকং দুই উইকেটে জয় পেয়েছিল। সেই ম্যাচে নিজাকাত নিজ তিন উইকেট নিয়েছিলেন, যখন বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১০৮ রান করে। হংকং তখন সেটি টপকিয়ে আরো দুই বল হাতে রেখেই জিতেছিল।
নিজাকাত উল্লেখ করেন, ওই ম্যাচটি ছিল খুব বিশেষ একটি ঘটনা। বাংলাদেশকে দেশের মাটিতে হারানো খুব কঠিন। আমি ঐ ম্যাচের কথা এখনও মনে রেখেছি, আমরা খুব ভালো খেলেছিলাম। তখন বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলছিল, কিন্তু আমরা আমাদের স্পিনের মাধ্যমে ম্যাচে ফিরি। এরপর ব্যাটিংয়ে আমরা ম্যাচ জিতে ফেলি। এটা ছিল আমাদের জন্য এক স্মরণীয় জয়। আমি তখন খুব ভালো বল করেছিলাম, নাদিম আহমেদের সঙ্গে আমার বোলিং জুটিও ছিল। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে, এবং আমরা সেখান থেকে ফিরে আসি।