ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় না পেলেও ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম এখন প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই ছাত্রনেতা তাঁর ঢাবি শিক্ষার্থীদের রায়কে সমীচীনভাবে গ্রহণ করেন এবং এতে তিনি নিজেকে পরম গর্বিত মনে করেন। তিনি ঢাকার ভোটের ফলাফল থেকে কোনো ক্ষোভ না দেখিয়ে, কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার রাতের ফল প্রকাশের পর ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি বক্তব্য দেন হামিম। এতে তিনি বলেন, ব্যতিক্রমি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে ভোট সম্পন্ন হলেও কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম এবং গণনার সময় মেশিনের ত্রুটি, জালিয়াতি ও কারচুপি দেখা গেছে। তিনি যোগ করেন, শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন এটাই তাঁদের চূড়ান্ত রায়, তাহলে তিনি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
হামিম আরও বলেন, আমি সবসময়ই আপনাদের পাশে থাকতে চাই, কারণ আমি আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আমাদের এই মহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য গর্বিত। আমি সবসময়ই আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।
তার এই সৌজন্যপূর্ণ বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে। একজন শুভাকাঙ্ক্ষী শাহ আলম মন্তব্য করেন, “সঠিক সিদ্ধান্ত। এটাই নতুনত্ব, এটাই জুনের চেতনা।” একইভাবে সাদিকুর রহমান লিখেন, “তুমি এই রকম আচরণ করে প্রমাণ করো যে তুমি একজন বড় নেতা হবেন।” মিলন হাসান স্বাধীন বলেন, “সহনশীলতা একজন নেতার গুণাবলি, আর তুমি সেটা দেখাতে পারো।” মোহাম্মদ মিলনও প্রশংসা করেন, “আজিজুল বারী ভাইয়ের ভাতিজা বলে, খানদানী বংশের সত্যি একজন রাজনীতিবিদ।”
এই পোস্টের উপর নানা জনের উচ্ছ্বাস ও শুভেচ্ছা বার্তা দেখা যায়। এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “এটাই একজন সত্যিকারের নেতার স্বাভাবিক আচরণ।” এই মন্তব্যে এক হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট আসে। অন্যদিকে, সারজিস আলম লিখেছেন, “আসন্ন নেতা তুমি,” যার রিঅ্যাক্ট সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। হামিমের এই প্রীতিকর আচরণ ও প্রশংসা ফিরিয়ে দেন অনেকেই, যা তার দলের ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক অনুসরণ ও প্রেরণা জুগিয়েছে।