নেপালে সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে দেশটির পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উত্তপ্ত। এই অস্থিরতার কারণে আজ বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচটি দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে গতকালই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশের ফুটবলাররা এখন নেপালে রয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তারা দেশে ফেরার জন্য ঠিক সময়ে বের হতে পারছেন না। হাইকমিশন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ম্যাচ বাতিলের কারণেই বাংলাদেশের ফুটবলাররা ফ্লাইট যথাসময়ে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন, বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ জন্য আজই তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় তাদের ফ্লাইটে ওঠার কথা ছিল।
তবে পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি চলে আসায় কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারির ফলে ছাত্র-জনতা রাস্তায় আবারও নেমে এসেছে, এবং শহরটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা হোটেল থেকে বের হতে পারেননি। কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট আপাতত বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া অবধি তাদের হোটেলেই থাকতে হবে।
অন্যদিকে, এই আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। দেশটিতে চলমান অস্থির পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সব ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। মূলত, স্থানীয় সময় দুপুরের পর থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।