ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির ঘটনায় নাম এসেছে বেশ কিছু বিশিষ্ট سابق কর্মকর্তাদের। তাদের মধ্যে আরও রয়েছে সাতজন সাবেক সচিব, দুদকের দুজন সাবেক কমিশনার, দুইজন সাবেক বিচারক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন সাবেক মহাপরিচালক। অভিযোগ উঠেছে, এই জনপ্রতিনিধিরা নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে দামি ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই অভিযোগের বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তদন্তের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটি ১২ জনের নামের তালিকা করে তাদের आगामी ১৭, ১৮ ও ২১ সেপ্টেম্বর হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধান দলের এক পর্যায়ে এই জিজ্ঞাসাবাদ। এই সময় তাদের উপস্থিত থাকতে হবে এবং নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।” ভবিষ্যত সাক্ষাৎকারে তলবপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক খান ও মোঃ জহুরুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, সাবেক সিনিয়র সচিব এম আসলাম আলম, মোঃ আনিছুর রহমান, এস এম গোলাম ফারুক, আকতারী মমতাজ, মোঃ সিরাজুল হক খান, মোঃ মঞ্জুরুল বাছিদ, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গৃহায়ন অধিদপ্তরের ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় নিয়মবিরুদ্ধভাবে উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়। ধানমন্ডি এলাকার ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) রাস্তার ৭১১ নম্বর (নতুন ৬৩) প্লটে ১৪ তলা ভবন নির্মিত, যেখানে ১৮টি ফ্ল্যাট ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ (১২টি) সরকারি কোটা ও ৪০ শতাংশ (৬টি) বেসরকারি কোটার অধীন বলে গণ্য হলেও, রাজ্যের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগে আরও ওঠে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রঙিন ভোটের রাতের পরিস্থিতির জন্য কিছু কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। ৫ মে একটি টেলিভিশন চ্যানেল অবকাশে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুদক বিষয়টির অনুসন্ধানে নামে, এবং ১২ মে তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ধানমন্ডি-৬ নম্বর প্লটে থাকা জমির মূল্য অত্যন্ত বেশি। অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই জমি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করে সেখানে ডুপ্লেক্সসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনে দুজন সাবেক কমিশনারের জন্য থাকছে দু’টি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের পাশাপাশি নিচে দুটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। অভিযোগের মতে, মোজাম্মেল হক খান ও জহুরুল হক নিজস্ব ডুপ্লেক্স পান। অন্য দশজন বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন মোঃ ইউনুসুর রহমান, কাদের সরকার, এম আসলাম আলম, আকতারী মমতাজ, মোঃ সিরাজুল হক খান, মোঃ মঞ্জুরুল বাছিদ, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, এম গোলাম ফারুক ও আনিছুর রহমান।