জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদলসহ মোট পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জন করেছে। তারা এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকটি প্যানেল হলো— ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। এর সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও তাদের সঙ্গে একমত হয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার বিকেল চারটার দিকে, ভোট চলাকালে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোট বর্জন করে। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল ভোটের ফলাফল বর্জন করে। একই সময়ে, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ ও সজীব আহমেদ জেনিচের ফ্রন্টের আংশিক প্যানেলও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে শংসপ্তক পর্ষদ নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করে অন্য কয়েকটি প্যানেল। তবে, কিছু প্যানেল ভোট বর্জন করেনি, যেমন— বাগছাস সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, শিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মেলন। সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, “আমরা এই অনিয়মের নির্বাচনের বয়কট করেছি এবং দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় নতুন নির্বাচন নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণা ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।” অন্যদিকে, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা পুনরায় নির্বাচনের জন্য দাবি জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ ও ছাত্র ফ্রন্টের কিছু প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, “আমরা অনিয়মের এই নির্বাচনের নিন্দা জানাই এবং দ্রুত সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ফলাফলের জন্য নতুন করে নির্বাচন গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে গঠন করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন ও তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’