পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মোট ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে। কমিশনের পরিচালিত তদন্তে জানা গেছে, নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির জন্য চার ব্যক্তিসহ এক প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সসহ কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে দুই ব্যক্তির উপরও জরিমানা আরোপ করা হয়। এ জরিমানা আদেশ বুধবারের ৯৭২তম কমিশন সভায় গৃহীত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভার শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ লাইন ক্লোথিংসের শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে জড়িত থাকায় মোঃ রিয়াজ মাহমুদ সরকারকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, আবুল বাসারকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, মোঃ সেলিমকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং জামিলকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সকল শাস্তি ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত שערকৃত শেয়ার কারসাজির জন্য এ জরিমানা কার্যকর করা হয়। অপরদিকে, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে এনআরবি ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুল হাসানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, তাকে পদচূড়ান্ত, চাকরি থেকে বিরত এবং পুঁজিবাজারের সব ধরনের লেনদেন থেকে ৫ বছর জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বীমা কোম্পানিটির পক্ষ থেকে শেয়ার কারসাজির জন্য শেখ ফকরুল আহমেদকে ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। এই জরিমানা ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান শেয়ার লেনদেনের সময়কালে করা হয়। একই সম্মেলনে, ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন ও অর্থমন্ত্রাণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, এই শেয়ার কারসাজিতে জড়িত মোঃ আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।