ক্রিকেটের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। এবারের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে সব ম্যাচের অফিসিয়াল দলের সদস্যরা সবাই নারী। বাংলাদেশ থেকে একজন নারী ম্যাচ অফিসিয়ালসের মধ্যে রয়েছেন জেসি নামে পরিচিত সাথিরা জাকির। আইসিসি জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নারী দলের মধ্যেই দায়িত্ব পালন করব তারা।
অতীতে ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস এবং শেষ দু’টি আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নারী অফিসিয়ালরা দায়িত্ব পালন করেছিলেন, কিন্তু এবারই প্রথম একসাথে পুরো টিম হিসেবে নারী অফিসিয়ালরা বিশ্বকাপের সব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিশ্বকাপের জন্য ১৪ জন আম্পায়ারদের মধ্যে বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে রয়েছেন সাথিরা জাকির জেসি। তার সঙ্গে রয়েছেন ক্লেয়ার পোলসাক, জ্যাকুলিন উইলিয়ামস এবং সু রেডফার্ন— যারা তৃতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া লরেন অ্যাগেনবাগ এবং কিম কটন রয়েছেন তাদের দ্বিতীয়বারের জন্য। গত ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে তারা অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম শিরোপা জয়ের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ম্যাচ রেফারির দলে রয়েছেন ট্রুডি অ্যান্ডারসন, শান্দ্রে ফ্রিটজ, জি.এস. লক্ষ্মী এবং মিশেল পেরেইরা। এঁরা ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করবেন।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, “সম্পূর্ণ নারী অফিসিয়াল প্যানেল নারী ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক মূহূর্ত এবং এটি ভবিষ্যতেও আরও সফলতার পথ দেখাবে। এটি লিঙ্গ সমতা অর্জনের এক বড় পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেছিলেন, “এটি নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এক মাইলফলকের মুহূর্ত, যা ক্রিকেটের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নারী ম্যাচ অফিসিয়ালসদের অন্তর্ভুক্তি কেবল একটি মাইলফলক নয়, এটি আইসিসির লিঙ্গসমতার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন।”
ম্যাচ অফিসিয়ালসের মধ্যে রয়েছেন:
– আম্পায়ার: সাথিরা জাকির জেসি, বৃন্দা রাঠি, কান্দেস লা বোর্দে, সুই রেডফার্ন, কেরিন ক্লাস্তে, এলোইস শেরিদান, ক্লেয়ার পোসাক, লরেন অ্যাগেনবাগ, গায়ত্রী ভেনুগোপালান, নারায়ণ জননী, নিমালি পেরেরা, জ্যাকুলিন উইলিয়ামস, কিম কটন ও সারাহ ড্যামনেভানা।
– ম্যাচ রেফারি: ট্রুডি অ্যান্ডারসন, শান্দ্রে ফ্রিটজ, জি.এস. লক্ষ্মী এবং মিশেল পেরেইরা।