আগ্রাসী ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকা। ইসরায়েলি সাবেক সেনাপ্রধান হের্জি হালেভি স্বীকার করেছেন, গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ—প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষ এই হামলার ফলে আহত বা নিহত হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে মহামারীতে আক্রান্ত রাজ্যটির পরিস্থিতি তুলে ধরে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চলতে থাকে। তখন প্রধান সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন হালেভি। তবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দ_Mskন্দ শুরু হলে তিনি মার্চে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তিনি অবসর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় নিজের মতামত প্রকাশ করছেন।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলে এক কমিউনিটি মিটিংয়ে হালেভি বলেন, গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ১০ শতাংশ—অর্থাৎ প্রায় দুই লাখ মানুষ—হতাহত হয়েছে বা নিহত হয়েছে। এই তথ্যের প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত হিসাবের সঙ্গে অতীতের তথ্যের সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ।
অথচ, দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই সংখ্যা অস্বীকার করে আসছে, বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই হিসাবের সত্যতা স্বীকার করেছে। এরপরও, গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭১৮ জন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জন।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে থাকায়, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিভিন্ন সংস্থা। গতকাল শুক্রবারও ইসরায়েলি সেনারা গাজায় আরও ৪০ জনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের তালিকা প্রকাশ করলেও, জঙ্গি ও সাধারণ নাগরিকদের আলাদা করে বিবরণ দেয় না। তবে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই সাধারণ মানুষ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির ইয়ত্তা বলতে উপকরণ ও টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদূরপ্রসারী ভাবনা ও উদ্যোগের প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে।