ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাত্র কয়েক মাস বাকি। এরই মধ্যে নির্বাচনি সামগ্রী সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে এগিয়ে এগুলোর পৌঁছানো নিশ্চিত করা হচ্ছে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সংরক্ষণ করার জন্য। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনি মালামাল সংরক্ষণ চলাকালে নির্বাচন ভবনের প্রতিটি কোণে এই দৃশ্য দেখা যায়।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব রাশেদুল ইসলাম জানান, লালগালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় হোসিয়ান ব্যাগ, ছোট হোসিয়ান ব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদার কিছু অংশ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলছিলেন, বড় ও ছোট হোসিয়ান ব্যাগের চাহিদার সবগুলোই এখন দাখিল হয়েছে এবং ধাপে ধাপে অন্যান্য মালামালও আসছে।
এখন পর্যন্ত কেনাকাটা ও সরবরাহের মধ্যে রয়েছে আট ধরনের মালামাল। এর মধ্যে লালগালা ২৩ হাজার কেজি চাহিদার মধ্যে এক চতুর্থাংশই এখন পৌঁছে গেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের জন্য ৫০ লাখ লক চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচ লাখ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। একইভাবে, ৮ লাখ ৪০ হাজার দফতরিক সিলের চাহিদার মধ্যে পাঁচ লাখের সরবরাহ শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। মার্কিং সিলের চাহিদা ছিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার, তবে দেড় লাখ সামগ্রী সরবরাহ শুরু হয়েছে। ব্রাস সিলের চাহিদা নির্ধারিত ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার, তবে রিটেন্ডার হওয়ায় বেশ কিছু বিলম্ব হচ্ছে। গনি ব্যাগের চাহিদা ১ লাখ ১৫ হাজার, সেটিও এখন পর্যন্ত সরবরাহ শুরু হয়নি; কারণ রিটেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে, বড় হোসিয়ান ব্যাগের চাহিদার সবটাই ইতিমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে, যা ৭০ হাজারের বেশি। এছাড়া ছোট হোসিয়ান ব্যাগের জন্য চাহিদা ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার, সেটিও সম্পূর্ণভাবে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে।
অগাস্টের শুরুর দিকে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারসেজ প্রক্রিয়ায় আটটি আইটেমের মধ্যে একটির পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে, তবে আমি বিশ্বাস করি সময়সীমার মধ্যে সব কিছুই শেষ হবে।
প্রতিটি কেন্দ্র ও বুথের জন্য ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন ২১ ধরনের সামগ্রী। রোজার আগে, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করছেন ইসি। পাশাপাশি, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।