নড়াইল-যশোর মহাসড়কে একটি বাঁশবোঝাই ট্রাক ও বাসের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনার ফলে নিহত হলেন তিনজন। এর মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন বাসযাত্রী রয়েছেন। ঘটনাটি রোববার রাত প্রায় ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙুড়া বাজার এলাকায় ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এই দুর্ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুর তালিকায় রয়েছেন নড়াইলের লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নিক্কন আঢ্য (৩৫), যশোর শহরতলীর বসুন্দিয়া এলাকার আক্তার হোসেন, এবং যশোরের ভেকুটিয়া এলাকার আবু জাফর, যিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মহাসড়কে একটি বাঁশবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে বাসটি দ্রুত গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশের বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায় এবং ভেতরে বাঁশ ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্তার হোসেন। গুরুতর আহত হন আবু জাফর ও এসআই নিক্কন আঢ্য।
আহতরা প্রথমে যশোরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আবু জাফর মারা যান। পরে পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়, তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই নিক্কন আঢ্য যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং নিশিকান্ত আঢ্যের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের ৩৭তম ব্যাচের আউটসাইড ক্যাডেট। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন। এর আগে তিনি র্যাবে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি আদালত থেকে ফেরার পথে প্রাণ হারান।
এসআই নিক্কনের মৃত্যুতে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে এগিয়ে যান। পরিবারের মঞ্জুরিতে সোমবার সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, এরপর তার মরদেহ যশোরের পুকুরিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আশাকরি সেখানেই দুপুরের মধ্যে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।