জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই আলোচনা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে, যার একটি হলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয়গুলো। এগুলোর বাস্তবায়ন সম্ভব অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে। তবে, রাষ্ট্র কাঠামোর বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা সংবিধানের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে এবং বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো কেবল সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কতটা টেকসই হবে, এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু আশঙ্কা রয়েছে।রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে হাইকোর্টে সংবিধানে সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং বেশ কিছু সংশোধনী বাতিলও হয়েছে। এর ফলে, আমরা বুঝতে পারছি কীভাবে সংবিধানের মূল পরিবর্তনগুলো টেকসই ও কার্যকর করা যায়, সেটা নির্ধারণে সবাইকে একসাথে ভাবতে হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে, একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান ও নতুন লিখিত ধারা, উপধারা ও অনুচ্ছেদসমূহের মধ্যে দিয়ে যে সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাবগুলো আমরা সম্মত হয়েছি, সেগুলো সুদৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব। এজন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি ঐক্যবদ্ধ সম্মতিতে পৌঁছাতে হবে।আখতার হোসেন আশা প্রকাশ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেই লক্ষ্যেই তিনি বলেন, কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আবেদন জানাবেন যে, কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে এই প্রসেসটি সবার কাছে প্রশ্নাতীত করে তোলা যায় এবং কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করা সম্ভব।