আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আলটিমেটাম দেন। ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই—আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা রাজপথে কঠোর কর্মসূচিতে নামবো। কী ধরনের আন্দোলন হবে, তা সময়ক্রমে স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং সরকারও বুঝবে তার জন্য সফলতা অপেক্ষা করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার নূরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যার কার্যকাল নির্ধারিত হয়েছে ৩০ কার্যদিবস। কিন্তু এই সময়সীমা প্রতারণামূলক। যদিও ঘটনাস্থলে সেনা ও পুলিশ উপস্থিত ছিল এবং বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নূরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে—তাইও, এ সবের পরও এ পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নূরকে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা থাকলেও, নতুন শারীরিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফারুক হাসান বলেন, ‘গতকাল রাতে হঠাৎ করে নূরের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার নাকের হাড় ভাঙা হয়েছে, ম্যান্ডিবল বা চোয়ালের অংশে ডিসপ্লেসমেন্ট হয়েছে, ফলে ডান পাশের চোয়াল আংশিক অবসাদগ্রস্ত। বর্তমানে তিনি সলিড খাবার খেতে পারছেন না এবং ডাক্তাররা তাকে শুধু লিকুইড খাবার খেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া লিভারে আঘাতজনিত জটিলতা দেখা দিয়েছে, তাই তাকে আরও কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ডা. মোহাম্মদ ইউনূস প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দ্রুত নূরের বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার গড়িমসি করছে এবং একের পর এক ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাম বলছে, যা সরকারের সদিচ্ছার অভাব নির্দেশ করে।’
তাদের অভিযোগ, ‘সরকারের এই টালবাহানা মর্যাদার সাথে প্রতারণামূলক। ফলে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারও যখন এটার কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তখন দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে নুরের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাব। সরকারের দয়া বা দাক্ষিণ্য বিষয় নয়, আমরা নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করব।’