নেপালে গত সপ্তাহের গণআন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে, সোমবার ও মঙ্গলবার নেপালে জেন-জির আন্দোলন তীব্রতর হয়। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পালিয়ে যান, যা গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। পালানোর পরেই বিক্ষোভকারীরা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনসহ মন্ত্রী-এমপি ভবনগুলি, আদালত ও পার্লামেন্টে আগুন লাগায়। এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুনে পোড়া ভবনগুলো থেকে মরদেহ উদ্ধার কাজে ব্যস্ত।
কেপি শর্মা পালানোর দিনই নেপালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, ফলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন দেওয়া ভবনগুলোতে উদ্ধার কাজ চালাতে পারেননি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুড়াধোকি বলেন, “শপিংমল, বাড়িসহ অন্যান্য ভবনে আগুন দেওয়ার পর এখন মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।”
প্রথমে শনিবার ৫১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও, নতুন তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাটি আরও বাড়ছে। ফলে এখন পর্যন্ত গণআন্দোলনের কারণে আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ১১৩ জন।
নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে দেখা যাচ্ছে, কেপি শর্মা পদত্যাগের পর, গত শুক্রবার রাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। রোববার তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা যদি নেপালি হন, তবে এতে তিনি লজ্জিত। তিনি আরো বলেন, “যারা জরুরি এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, তারা যদি নেপালি হয়ে থাকে, তাহলে আমি লজ্জিত। কীভাবে তাদের নেপালি বলা যায়?”
সূত্র: রয়টার্স।